গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১০০
আপলোড সময় :
২৪-০৭-২০২৫ ১১:৫৮:৩৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় :
২৪-০৭-২০২৫ ১১:৫৮:৩৮ পূর্বাহ্ন
হামাসের সঙ্গে শান্তি আলোচনা প্রত্যাখান করার পর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতা আরও বেড়েছে। দখলদার বাহিনীর হামলায় উপত্যকাটিতে শেষ ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া অনাহারে আরও ১০ জন মারা গেছেন
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতির বরাতে কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকালে এই তথ্য জানিয়েছে।
হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, স্থানীয় সময় বুধবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত গাজার সরাসরি বেসামরিক মানুষ, শিশু, নারী, আশ্রয়কেন্দ্র ও খাদ্যের সন্ধানে থাকা মানুষদের টার্গেট করে চালানো ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১০০ জন নিহত হয়েছে। বিমান অভিযানের আগে কোনো সতর্ক সংকেত বা সাইরেন দেয়নি ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। এ হামলায় অন্তত শতাধিক মরদেহ ধ্বংস্তূপের তলায় আটকা পড়েছেন। তাদের উদ্ধার করা এখনও সম্ভব হয়নি।
এই ঘটনার মধ্য দিয়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) পরিচালিত ত্রাণকেন্দ্রের আশপাশে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১১০০ জনে পৌঁছেছে।
ওই বিবৃতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনীর মন্ত্রণালয়ের হামলার পর গাজায় গত ২১ মাসে মোট নিহতের সংখ্যা ৫৯ হাজার ছাড়িয়েছে এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার জনে পৌঁছেছে।
অন্যদিকে, গাজার মিডিয়া অফিস আগেই জানিয়েছে- ইসরায়েলি সেনারা উত্তর গাজা অঞ্চলের এক হাজারেরও বেশি বাড়িঘর পুরোপুরি বা আংশিক ধ্বংস করেছে। পাশাপাশি, ওই এলাকার ৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দাকে গাজা সিটির দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, যেখানে তাদের আশ্রয় দেওয়ার মতো প্রয়োজনীয় অবকাঠামোই নেই।
এদিকে দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দুই মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় গত সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
জাতিসংঘের মতে, দখলদার ইসরায়েলের নির্বিচার আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে অধিকাংশ অবকাঠামো।
নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin
কমেন্ট বক্স